ফরেক্স এর ইতিহাস

ফরেক্স এর ইতিহাস :

যদিওবা আমরা ফরেক্স নিয়ে কাজ করি ট্রেড করি কিন্তু ফরেক্সের ইতিহাস হয়তো অনেকে জানিনা জানিনা,এতে কেউ প্রশ্ন করলে সংশয়ে ভোগতে হয় তাছাড়া হয়তো অনেকে মনে করে থাকেন এটি একটি নতুন মার্কেট তাই ফরেক্স এর ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস

ফরেক্স মার্কেট এর যাত্রা শুরু ১৯৭১ সালে, আর তা সম্ভব হয়েছিল টেকনোলজি, কমিউনিকেশন এর অগ্রসরতার কারনে কিন্তু তখন টেকনোলজি তেমন উন্নত ছিলনা বিশেষ করে স্বর্নের বাজারকে কেন্দ্র করেই এই বাজারের যাত্রা বিভিন্ন জটিলতার কারনে স্বর্ন ভিত্তিক মুদ্রা ব্যবস্থা বিদায় নেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তখন ইউরোপীয় দেশগুলোতে তাদের বিশাল সব প্রকল্পগুলোকে বাস্তবায়িত করার মতো টাকা ছিলোনা যদিও এই স্বর্ণ ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেছে, তবুও স্বর্ণ তার মূল্য এবং মুদ্রামানে নিজের অবস্থান ভালভাবেই ধরে রেখেছে

১৯৭৩ সালের দিকে অধিকাংশ উন্নত দেশের মুদ্রাই ‘free-floating’ হয়ে যায় এর মাধ্যমেই আধুনিক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের প্রবর্তন হয় ১৯৭৬ সালে মূলত সর্বসম্মতভাবে পরিবর্তনশীল মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল এর মাধ্যমেই আধুনিক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের প্রবর্তন হয় যা ১৯৯০ সালের দিকে বর্তমান যান্ত্রিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার রূপ নেয়
.
ফরেক্স কারা করতো: ফরেক্স এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল যে ফরেক্স মুদ্রার লেনদেন মূলত ব্যাংক গুলোতেই হয় যেমন, আরমাডা মারকেটস এর পার্টনার হচ্ছে সিটি ব্যাংক (Citi Bank) এল এম এক্স (LMAX) বড় বড় ব্যাংক গুলো প্রতিদিন কয়েক শত কোটি ডলারের লেনদেন সম্পন্ন করে থাকে

 
ফরেক্স এত জনপ্রিয় হচ্ছে কেন? : যেহেতু এ মার্কেটের ব্যাপকতা অনেক । অনেকেই এখানে অংশগ্রহন করে থাকে । যেমন- ব্যাংক, বড় আর্ন্তরজাতিক কোম্পানিগুলো, ট্রেডিং কোম্পানি, কিছু স্বল্পমেয়াদী ট্রেডার।আমাদের দেশে শেয়ার বাজার বার বার মার খাওয়ার কারনে এবং ফরেক্স-এ সফলতার কারনে দিন দিন ফরক্স এ ট্রেডার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিওবা আমাদের দেশে প্রাতিষ্টানিকভাবে ফরেক্স এর অনুমোদন নাই তবুও প্রতিনিয়ত ট্রেডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশের বাইরে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশে তাদের পণ্য সেবা আদান-প্রদান করার জন্য অর্থ লেনদেন করে ফরেক্স এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় অঙ্কের লেনদেন হয়ে থাকে এইসব প্রতিষ্ঠান এর বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়ী দেনা-পাওনা মিটানোর মাধ্যমে

শেয়ার বাজার এর চাইতে ফরেক্স মার্কেট সুবিধাজনক : যেহেতু ফরেক্স মার্কেটে মুদ্রা কেনা-বেচা হয় এবং এর মাধ্যমে লাভ-লোকসান নিয়ন্ত্রন করা যায় তাই এটি অতি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। সোজা কোথায়মুদ্রা কোন ট্রেডার যখন একটি কারেন্সি কিনি তখন আমরা একটি দেশের কিছু শেয়ার কিনছি, যা কোন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার মত কারেন্সির দাম হল ওই দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি যখন আমরা ডলারের বিপরীতে কানাডিয়ান মুদ্রা কিনি তখন মুলত কানাডিয়ান অর্থনীতিতে শেয়ার কিনি যখন মনে করতেছি ডলারের বিপরীতে কানাডিয়ান ডলারের দাম বাড়তেছে বা আরো বাড়বে তখন আমরা আমরা ওই শেয়ারগুলো বিক্রি করে দিয়ে লাভবান হবো।
.
সাধারণত, একটি কারেন্সির সাথে অন্য কারেন্সির আদান প্রদানের নামই হচ্ছে ফরেক্স। আর এই আদান-প্রদানের মাধ্যেমেই বুঝা যায় একটি  দেশের অর্থব্যবস্থার তুলনায় অন্য আরেকটি দেশের অর্থব্যবস্থার প্রতিফলন
.
আমরা পত্র-পত্রিকায়, অনলাইনে, টিভি নিউজে দেখে থাকি কখনো ইউরো বিপরীতে ইউ.এস.ডি শক্তিশালী হচ্ছে আবার কখনো ইউ.এস.ডি বিপরীতে ইউরো শক্তিশালী হচ্ছে, এভাবে প্রায়ই এক দেশের মুদ্রা আরেকটি দেশের বিপরীতে শক্তিশালী এবং দুর্বল হয় আর এই সুযোগটাই ট্রেডাররা কাজে লাগিয়ে লাভবান হওয়া যায়।
আরও ক্লিয়ার করলে বুঝা যাবে মুদ্রার পেয়ারের (জোরা) একটি মুদ্রার দাম বাড়লে অপরটির দাম কমে তাই দাম বাড়লেও প্রফিট করা যায় আবার দাম কমলেও প্রফিট করা যায়। ফরেক্সের এই সুবিধার জন্যই ফরেক্স বাজর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে

ফরেক্স মার্কেট জনপ্রিয়তার আরো  একটি মূল কারন হচ্ছে সাধারনত ট্রেডিশনাল ব্যবসায়ে ক্রয়কৃত পন্যের কখন বাজার দাম বাড়বে অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু তাও আবার রিস্কি। কারন আশানুরূপ দাম নাও বাড়তে পারে বরং কমতেও পারে।
.
কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে দাম সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন দামের কোন ভিত্তি নেই দাম কমলেও লাভ করা আয় অন্যদিকে দাম বাড়লেও লাভ করা যায়।

.
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন

মোবাইলঃ ০১৭৮৪১৯৬৭১৯

Post a Comment

0 Comments