ফুটবলের বৈশ্বিক পরিচিতি

dyUej


ফুটবল (ইংরেজি: Football) বা সকার একটি দলগত খেলা। তবে, ফুটবল নামেই এটি বৈশ্বিকভাবে ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয় খেলা। এটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা) কর্তৃক পরিচালিত ক্রীড়ার আনুষ্ঠানিক নাম। কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় খেলাটি সকার নামে পরিচিত। এটি দুই দলের মধ্যে খেলা হয়, যার প্রতিটি দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে। একবিংশ শতকে এসে ফুটবল খেলা দুই শতাধিক দেশের ২৫০ মিলিয়নেরও অধিক খেলোয়াড় খেলে থাকেন। এরফলে ফুটবল বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রচলিত খেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে|­­­

ফুটবল খেলা মূলত ১৭ টি আইনের মাধ্যমে খেলা হয় । উক্ত আইন গুলো করে থাকে ফিফা এতে সহযোগীতা করে "ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল এসোসিয়েশন বোর্ড", "দা ফুটবল এসোসিয়েশন (ইংল্যান্ড)", "দা স্কটিস ফুটবল এসোসিয়েশন", "দা ফুটবল এসোসিয়েশন অফ ওয়েলস", "দা আইরিশ ফুটবল এসোসিয়েশন"

আইন গুলো হল :
. খেলার মাঠ
. বল
. খেলোয়ার সংখ্যা
. খেলোরড়ের পোশাক/ সাজ সরঞ্জাম
. রেফারী
. সহকারী রেফারী
. খেলার সময়কাল
. খেলা শুরু বা আরম্ভ ও পুনরায় আরম্ভ করা
. বল খেলার মধ্যে ও বাইরে
১০. গোল হবার পদ্বতি
১১. অফসাইড

১২. ফাউল ও অসদাচরণ
১৩. ফ্রি-কি
১৪. পেনাল্টি কিক
১৫. থ্রো-ইন
১৬. গোল কিক
১৭. কর্ণার কিক

বৈশিষ্ট্যসমূহ
শারীরিক সংস্পর্শ
হ্যাঁ
দলের সদস্য
প্রতি দলে ১১ জন
মিশ্রিত লিঙ্গ
হ্যাঁ, পৃথক প্রতিযোগিতা
বিভাগ
দলীয় খেলা, বল খেলা
সরঞ্জাম
ফুটবল
মাঠ
ফুটবল মাঠ
গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ১৯০০-১৯২৮
পুণরায় প্রত্যাবর্তন ১৯৩৬ থেকে অদ্যাবধি
না
দেশ বা অঞ্চল
বিশ্বব্যাপী



  
ফুটবল খেলার স্তর এবং দেশভেদে কোচের ভূমিকা ও দায়িত্ব-কর্তব্যের রূপরেখা ভিন্নতর হতে পারে। যুব ফুটবলে কোচের প্রধান ভূমিকা হচ্ছে খেলোয়াড়দেরকে উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের দক্ষতাকে কাগজে-কলমে দেখিয়ে উত্তরণ ঘটানো। শারীরিক অথবা কৌশলগত উত্তরণের তুলনায় প্রাণবন্তঃ এবং সুন্দর খেলা উপহার দেয়াকে প্রাধান্য দেয়া। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো তাদের প্রশিক্ষণের ছকে এ সংক্রান্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কোচদেরকেও খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং বিজয়ের লক্ষ্যে আনন্দ উপভোগের জন্যে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে।
প্রতিযোগিতামূলক খেলায় তিনি মাঠের বাইরে কৌশলগত কারণে সুবিধাজনক যে-কোন জায়গায় অন্যান্য অতিরিক্ত খেলোয়াড় সহযোগে অবস্থান করতে পারেন; কিন্তু তাঁর ঐ অবস্থান আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়

ফুটবল নিয়ন্ত্রন সংস্থা

প্রত্যেক দেশের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা প্রতি মৌসুমে ঘরোয়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সাধারণত এতে বেশ কয়েকটি বিভাগ থাকে এবং দলগুলো পুরো মৌসুম জুড়ে খেলার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পয়েন্ট অর্জন করে থাকে। দলগুলোকে একটি তালিকায় তাদের অর্জিত পয়েন্টের ক্রমানুসারে সাজানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, দলগুলো প্রতি মৌসুমে তার লীগের অন্য সকল দলের সাথে ঘরের মাঠে এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে ম্যাচ খেলে। এরপর মৌসুমের শেষে শীর্ষ দলটিকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। শীর্ষ কয়েকটি দল এমনকি উপরের বিভাগে খেলার সুযোগও পেতে পারে। অনুরূপভাবে, একেবারে পয়েন্ট তালিকার নিচে মৌসুম শেষ করা কয়েকটি দল নিচের বিভাগে অবনমিত হয়। শীর্ষ এক বা একাধিক দল পরবর্তী মৌসুমে আন্তর্জাতিক ক্লাব প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগও পেতে পারে। এই নিয়মের প্রধান ব্যতিক্রম দেখা যায় লাতিন আমেরিকার কয়েকটি লীগে। বেশিরভাগ দেশেই লীগ ব্যবস্থার সাথে এক বা একাধিক "কাপ" প্রতিযোগিতা যুক্ত থাকে।

রেফারী
একজন রেফারীর মাধ্যমে ফুটবল খেলা পরিচালিত হয়। তিনি খেলায় মূল কর্তৃপক্ষ হিসেবে যাবতীয় আইন-কানুন প্রয়োগ করেন। দুইজন সহকারী রেফারী বা লাইন্সম্যান এবং কখনো কখনো চতুর্থ রেফারীও তাঁকে খেলায় সহায়তা করে থাকেন। তবে ইউইএফএ ফুটবল প্রতিযোগিতায় ৬জন রেফারী অংশগ্রহণ করেন। দুইজন গোলপোস্টের বাইরে থেকে বলের অবস্থান চিহ্নিত করেন যে তা গোল লাইন অতিক্রম করেছে কি-না (এদেরকে গোললাইন রেফারীও বলা হয়)
খেলা নির্দিষ্ট সময়ে সমাপণ কিংবা অতিরিক্ত সময় যুক্তকরণ তাঁর দায়িত্ব। মাঠে অবস্থানকালে যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় পরখপূর্বক খেলোয়াড় সংখ্যার সঠিকতা, অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের সংশ্লিষ্টতা, ইত্যাদি ঘটনার বিবরণ নোটবহিতে লিপিবদ্ধসহ খেলাশেষে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন। এছাড়াও, খেলোয়াড় আহত ও এর গুরুত্বতা অণুধাবনপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। মাঠে তিনি কোন খেলোয়াড়, এমনকি দলীয় কোচকে হলু কিংবা লা কার্ডের প্রয়োগের মাধ্যমে যথাক্রমে সতর্কীকরণ, শাস্তি কিংবা হিস্কার করতে পারেন।



dzUej †Ljvi wewfbœ wbqg I kvw¯Í


ফুটবল খেলার কিছু নিয়মে বড় পরিবর্তন এসেছে। পহেলা জুন থেকে চালু হওয়া নতুন এসব নিয়মের ফলে খেলায় উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নিই বদলে যাওয়া নিয়মগুলো।
পেনাল্টি
যদি কোনও খেলোয়াড় পেনাল্টি শট নেওয়ার আগ মুহূর্তে পুরোপুরি দাঁড়িয়ে যান বা অন্য কাউকে পাস দেন - তাহলে সেটা পেনাল্টি হিসেবে আর গণ্য হবে না। উল্টো প্রতিপক্ষকে একটি ফ্রি কিকনেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। যে খেলোয়াড় পেনাল্টি নিতে গিয়ে এটা করবেন, তাকে রেফারি চাইলে হলুদ কার্ডও দেখাতে পারেন।
তিন ধরনের শাস্তি
আগে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে একজন ফুটবলার ফাউল করলে তিনভাবে শাস্তি দেওয়া যেতো - পেনাল্টি শট, লাল কার্ড এবং নিষেধাজ্ঞা। জার্মানরা এই নিয়মের বিরুদ্ধে বেশ সরব ছিল। নতুন নিয়মে রেফারিকে আরও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে। তার অর্থ হচ্ছে, অভিযুক্ত খেলোয়াড়কে তখনই বের করে দেওয়া যেতে পারে, যদি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ফাউল করে থাকেন। তবে শুধু বল খেলতে গিয়ে কিছু হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হলুদ কার্ড।
খেলা শুরুর আগেই লাল কার্ড
নতুন নিয়মে খেলা শুরু হওয়ার আগেই একজন খেলায়াড়কে চাইলে লাল কার্ড দেখাতে পারেন রেফারি। তা সত্ত্বেও তার দল এগারো জন নিয়ে মাঠে নামতে পারবে। অর্থাৎ লাল কার্ড পাওয়া খেলোয়াড়ের বিকল্প মাঠে নামানো যাবে।
বিশ সেকেন্ডের সেবা
মাঠে প্রত্যেক সেকেন্ডই হিসেব করা হয়। যদি ফিজিও একজন আহত খেলোয়াড়কে বিশ সেকেন্ডের মধ্যে সুস্থ করে তুলতে পারেন, তাহলে তার আর মাঠ ত্যাগের দরকার নে।৷ বরং সঙ্গে সঙ্গেই খেলা শুরু করতে পারবেন সেই খেলোয়াড়। আগে আহত খেলোয়াড়কে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হতো এবং তিনি সুস্থ হওয়ার পর পুনরায় মাঠে নামতে রেফারির অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হতো।

 খেলা শুরুর নিয়ম বদল
কিক অফের সময় এখন আর বল শুধু সামনের দিকেই বাড়াতে হবে না, চাইলে আড়াআড়ি, এমনকি ব্যাকপাসের মাধ্যমে পেছনে দাঁড়ানো কোনও সতীর্থের উদ্দেশ্যেও বল পাঠানো যাবে।
গোলকিপারের সামনে দেয়াল নয়
ফ্রি কিক নেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের গোলকিপারের সামনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দেয়াল বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।  যে দলের বিপক্ষে ফ্রি কিক শুধুমাত্র সেই দলের খেলোয়াড়রা প্রতিরক্ষা দেয়াল গড়তে পারবেন।
পানীয় বিরতি
গরমের দিনে বা দুপুরের পর আয়োজিত খেলায় রেফারি চাইলে পানীয়র বিরতি নিতে পারবেন যাতে খেলোয়াড়রা তরল পান করে নিজেদের আবার সতেজ করে নিতে পারেন। তবে বিরতির জন্য নেয়া সময় খেলা শেষের বাড়তি সময়ের সঙ্গে যোগ করতে হবে।
থ্রোর নিয়ম কড়া হচ্ছে
আগে বল থ্রোকরার নিয়ম পালনের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা ছিল। কিন্তু এখন খেলোয়াড়কে অবশ্যই দুহাতে ধরে মাথার উপর থেকে বলটি থ্রোকরতে হবে এবং ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেটা করতে হবে, যেখান দিয়ে বলটি মাঠের বাইরে গিয়েছিল।
জুতা ছাড়া খেলা
আগে একজন খেলোয়াড়ের এক পাযের জুতো খুলে গেলে সেটা না পরা পর্যন্ত চাইলেও তিনি খেলতে পারতেন না। এখন জুতা খুলে গেলে খালি পায়েও খেলা চালিয়ে যাওয়া যাবে, এমনকি শিন গার্ডখুলে গেলেও সমস্যা নেই।
শর্টস এবং আন্ডারশর্টসের মিল থাকতে হবে
 চেক, স্ট্রাইপ বা নিয়ন কালারের কিন্তু কিছুটা স্বচ্ছ আন্ডারশর্টস পরায় বাধা থাকছে না। তবে শর্টস এবং আন্ডারশর্টসের রংয়ের মধ্যে মিল থাকতে হবে। নতুবা রেফারি চাইলে আন্ডারশর্টস বদলানোর নির্দেশ দিতে পারে

Post a Comment

0 Comments